অভয়নগরে সরকার নির্ধারিত ২৯ পণ্যের মধ্যে কোনটিরই বাজারে প্রভাব পরেনি।

বিশেষ প্রতিনিধি

অভয়নগরে সরকার নির্ধারিত ২৯ পণ্যের বাজারে প্রভাব নেই

অভয়নগরে সরকারের নির্ধারিত ২৯ পণ্যের বাজারে কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। ১৫ মার্চ সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে মাছ, মাংশ, ডিম, ডাল, সবজি সহ ২৯টি পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হলেও, অভয়নগরের পাইকারি বাজারসহ উপজেলার অন্যান্য বাজারে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নওয়াপাড়া পাইকারি বড় বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী অধিকাংশ পণ্য বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।

ভাঙ্গাগেট, বউবাজার, রাজঘাট, চেঙ্গুটিয়া বাজারসহ অন্যান্য খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা সরকারের নির্ধারিত মূল্য ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সার চেয়ে বেশি। সোনালি মুরগী কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকায়, সরকারের নির্ধারিত মূল্য ২৬২ টাকা। গরুর মাংশ কেজি প্রতি ৭০০-৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকারের নির্ধারিত মূল্য ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সার চেয়ে বেশি।

নওয়াপাড়া পাইকারি বাজারে দেশী পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকা, তবে কিছু দোকানে ৫০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা। রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকায়, যা সরকারের নির্ধারিত মূল্য ১২০ টাকা ৮১ পয়সার চেয়ে বেশি। ছোলা কেজি প্রতি ১০০-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সরকারের নির্ধারিত মূল্য ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা। শুকনা মরিচ কেজি প্রতি ৪৪০-৪৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকারের নির্ধারিত মূল্য ৩২৭ টাকা ৩৪ পয়সার চেয়ে অনেক বেশি।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, দাম নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ তারা পণ্য বেশি দামে কিনে থাকেন। নওয়াপাড়া বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সফিক আহমেদ বলেন, “আমদানি বেশি হলে দাম কমে যাবে, কিন্তু কম হলে দাম বাড়বে।” মাংস ব্যবসায়ী খায়ের বলেন, “আমরা যে দামে ক্রয় করি, সেই অনুযায়ী বিক্রি করতে হয়, সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বিক্রি করা সম্ভব নয়।”

এভাবে, সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী বাজারে পণ্য বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে না, যা সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

Leave a Reply